ছবি.ইন্টারনেট
ফ্রান্সের থ্যালাস এলিনিয়া স্পেসের ফ্যাক্টরিতে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ এর নির্মাণ কাজ শেষ। এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানুয়ারিতে রাশিয়ার তৈরি কার্গো বিমানে স্যাটেলাইটটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ কার্নিভালে নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্যাটেলাইট তৈরির কাজ শেষ এখন রকেট তৈরির কাজ চলছে। জানুয়ারিতে স্যাটেলাইট বিশেষ কার্গো বিমানে যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া হলেও উৎক্ষেপণের এক মাস আগে থেকে স্পেসএক্স এর লঞ্চ ফ্যাসিলিটিতে লঞ্চ ভেহিকল ফ্যালকন-৯ এর ইন্ট্রিগ্রেশনসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করতে হবে। স্যাটেলাইট বিমানে তোলার আগে এবং নামানোর পরে পরীক্ষা করতে হবে। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে স্যাটেলাইটটি রকেটের সামনে বসবে। স্যাটেলাইটটির পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হবে ২০১৮ সালের এপ্রিল-মে মাস নাগাদ।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বড় ধরনের অগ্রগতি এনে দেবে এই স্যাটেলাইট। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমরা টেলিফোন সংযোগ নিতে পারি না। এই স্যাটলাইটের মাধ্যমে সারাদেশে টেলিফোন সংযোগ নেওয়া যাবে, যা তথ্যপ্রযুক্তির সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করার পথ সুগম করবে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্পের পরিচালক মেজবাহুজ্জামান জানান, স্যাটেলাইটের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানা হারিকেন ‘ইরমা’র কারণে উৎক্ষেপণ পিছিয়েছে। উপগ্রহ মহাকাশে গেলে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হবে বাংলাদেশ।
‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’-এ রয়েছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার। যার মধ্যে ২৬টি কেইউ-ব্যান্ডের এবং ১৪টি সি-ব্যান্ডের। ওই ট্রান্সপন্ডারগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২০টি ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। বাকিগুলো সার্কভুক্ত দেশ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান ও কাজাখস্তান কে ভাড়া দেওয়া যাবে।
গত মে মাসে ফ্রান্সে স্যাটেলাইট নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে দেশে ফিরে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছিলেন, ২০১৮ সালের জুনে বাণিজ্যিক অপারেশনে যাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply